স্টাফ রিপোর্টার, ঘটনা প্রবাহঃ রাত বাজে ১২ টা। এত রাতেও সড়কে মানুষের ভিড়। ভিড় অতিক্রম করে সামনে যেতেই বিষয়টি পরিষ্কার হলো। এই মধ্যরাতে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়, সুইট হোটেলের সামনে ও বালিকা বিদ্যালয় সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। আর এই কাজে সহোযোগিতা করছেন জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র।
দেখা গেল রোলারের স্টিয়ারিংয়ে বসা রয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) সরোজ কুমার নাথ আর তাকে সহোযোগিতা করছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। আর তাদের দেখতেই এতো রাতে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা।
জানা যায়, রাত ২/৩টা পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভাঙ্গাচোরা চলাচলের অযোগ্য এই রাস্তা মেরামত করে বাড়ি ফেরেন জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়র। তাদের সাথে সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন উৎসুক জনতাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসন জানান, রোলার ড্রাইভার ও হেলপার হিসেবে জনস্বর্থে জেলা প্রশাসক এবং পৌর মেয়রের এই কাজ ব্যতিক্রমই বটে। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গুরুত্বপুর্ণ এই রাস্তাটি ৬ মাস ধরে মেরামতের জন্য বলা হচ্ছে। এ নিয়ে সমন্বয় কমিটির ৪টি সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু স্বার্থ না থাকায় সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এই রাস্তা করেনি। জনস্বার্থকে তারা উপেক্ষা করেছে। বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের অনুরোধে ঝিনাইদহ পৌরসভার মালামাল ও লোকবল দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের যোগ্য করা হয়।
পৌর মেয়র বলেন, রাতের বেলা রাস্তা তৈরিতে পৌরসভার অনেক হতদরিদ্র শ্রমিক সেচ্ছায় শ্রম দিয়েছেন। সওজের রাস্তা জনস্বার্থে পৌরসভা মেরামতের বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হয় ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের।
তিনি জানান, আমরা রাস্তাটি মেরামত করতে ১৪লাখ টাকার টেন্ডার করেছি। সিএস অনুমোদন হয়ে এসেছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, সরকারী কাজ করতে তো সময় লাগে। এ জন্য সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেরি হচ্ছে।