রাজন আহম্মেদ মল্লিক সুমন
আজ ২৭ জুলাই সোমবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য তনয় ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম শুভ জন্মদিনে তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে, বিশিষ্ট শিল্পপতি, দানবীর, সমাজসেবক ও কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিপ্রার্থী রাজন আহম্মেদ মল্লিক সুমন।
তিনি কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে-এই নেতৃদ্বয়-আশা প্রকাশ করে, বলেন, যোগ্য মায়ে’র যোগ্য সন্তান ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়, দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্খে-সর্বদা সে তার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বের মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে।
অগ্নিঝরা একাত্তরের এই দিনে খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম এমএ ওয়াজেদ মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঘরে জন্ম নেন সজীব ওয়াজেদ। স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার এ নাম রাখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির সময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান জয়। ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহপরিবারে শহীদ হন। পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয় মায়ের সঙ্গে জার্মানি হয়ে ভারতে যান। জয়ের শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। জয় নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনির্ভাসিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করেন। পরে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতোকোত্তর শেষ করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতিহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, সজীব ওয়াজেদ জয়কে পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি, তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়। এছাড়া তিনি তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।