নিজস্ব প্রতিবেদক
ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার পারদর্শিতা দেখানোর মেশিন না বানিয়ে তাদেরকে মননশীলতায় উদ্বুদ্ধ করতে অভিবাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। তিনি বলেন, তাদের এমনভাবে উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করা উচিত যাতে তারা যখন বড় হতে থাকবে তখন তাদের মানস ও মননশীলতা, মানবিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে উঠতে পারে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সন্ত্রাস-‘জঙ্গিবাদ ও বিপথগামী তারুণ্য: প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন।
খালীকুজ্জামান বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুকুমার বৃত্তির অনুশীলনের পরিমিত ব্যবস্থা থাকতে হবে। এদিকে মা-বাবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার শুরু থেকেই শিশুদের বই, নোট বই, প্রাইভেট শিক্ষক ও পরীক্ষায় ভালো করার (গোল্ডেন পাঁচ অর্জন) তাগিদের ভারে ন্যুব্জ করে রাখা হয়। বলা যায়, তাদের শিশুকাল হরণ করে ফেলা হয়। কাজেই তাদের অনেকেই আস্তে আস্তে যন্ত্র-সম হয়ে যায়। এরা, খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুকুমার বৃত্তির অনুশীলসহ সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন গড়ার উপাদানসমূহ থেকে বঞ্চিত। পরীক্ষায় ভালো করার চাপে মা-বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে না। তারা যখন বড় হতে থাকে, তখন কেউ কেউ নিজের মত করে নিজের একটা জগত গড়ে নিতে চায়। এরাই খুব ভঙ্গুর থাকে এবং অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, এরা সঠিক সুস্থ্য চিন্তা করতে পারে না। ভঙ্গুর মানসিকতায় আক্রান্ত এই তরুণদের মধ্য থেকে জঙ্গি নেতারা কর্মী সংগ্রহ করতে পারে এবং করে যা গুলশান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলাকারীদের পরিচিতি থেকে পরিস্কার। এরা ইংরেজি মাধ্যমসহ পরিচিত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছিল।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।