ঢাকা-জামালপুর রেলপথে চলাচলকারী দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ভ্রমনকারী যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে একদল ছিনতাইকারী।
গফরগাঁও-ময়মনসিংহ রেলপথের মাঝামাঝি ফাতেমানগর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর পরই এ গণছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন ট্রেনের ১০ যাত্রী। এদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত এক কলেজ ছাত্র ও অটো চালকসহ গুরুতর আহত তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছিনতাইকারীরা গফরগাঁও ও ফাতেমানগর স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে ট্রেনের ছাদে উঠে। ছিনতাই শেষে ময়মনসিংহ স্টেশনে প্রবেশের আগেই ১০০ গজ দূরে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে যায় ছিনতাইকারীরা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ-জামালপুর রেলপথে চলাচলকারী দেওয়ারগঞ্জগামী যাত্রিবাহি কমিউটার ট্রেনটি শনিবার রাত ৮ টার পর গফরগাঁও স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। রাত পৌনে নয়টার দিকে ফাতেমানগর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি ছেড়ে কিছুদূর যাওয়ার পরেই যাত্রীবেশে ৮/৯ জনের ছিনতাইকাইকারী দল ট্রেনের ছাদে ভ্রমণরত ৪০-৫০ জন যাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সবকিছুই ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বাঁধা দেওয়ায় যাত্রীদের পিটিয়ে আহত করে। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মোহনগঞ্জ উপজেলার নলজুড়ি গ্রামের কলেজ ছাত্র রাজিব (১৯) ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ইশ্বরদিয়া গ্রামের অটো রিকশাচালক হৃদয় মিয়া (২৫) সহ তিনজন গুরুতর আহত হন। আহতদের চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিতে চেষ্টা করে ছিনতাইকারিরা।
ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চরবড়বিলা গ্রামের শাহীন (২৯) জানান, ছিনতাইকারীদল তার দুটি মোবাইল সেট ও সঙ্গে থাকা এক হাজার দুই’শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। টাকা দিতে দেরী করার কারণে রামদার উল্টাপিঠ দিয়ে তাকে পেটানো হয়।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি মো. মোশরারফ হোসেন বলেন, ছিনতাইয়ের শিকার ও আহতদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি । ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।