ঘটনা প্রবাহ ডেস্ক: মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডারের বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ৪৩ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ ২০৭/৫। ব্যক্তিগত ৬৭ রান নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন মুশফিক। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
এর আগে দলীয় স্কোর দেড়’শ রানের আগে পরে সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
আজ সোমবার ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের রোজ বোল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা ১০ মিনিট বিলম্ব হয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন হয়। মুজিব উর রহমানের বলে হাসমতউল্লাহ শাহিদির হাতে ক্যাচ দেন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। দুজনে মিলে খেলেন ৫৯ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটান মোহাম্মদ নবী। ৩৬ রান করা সেট ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে ফেরান তিনি। দলীয় ৮২ রানের মাথায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়।
এরপর মুশফিক-সাকিবের ৬১ রানের জুটি আফগানদের আরেক দফা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ যাত্রায় আফগানদের রক্ষা করেন মুজিব উর রহমান। সাকিব আল হাসানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বল থেকে ৫১ রান করে এই আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্থান পুনর্দখল করেন সাকিব। দলীয় স্কোরে ৩ রান যোগ করে সৌম্য সরকার সাজঘরে ফিরলে দলীয় ১৫১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সৌম্যকে ফিরিয়ে তৃতীয় শিকারের দেখা পান মুজিব।