মাইনুল হক মেনু, নিজস্ব প্রতিবেদক
সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে মালয়েশিয়া গিয়ে প্রাণ হারালো মিজানুর রহমান (২২) নামে কটিয়াদীরের এক যুবক। মা বাবার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার আধ ঘন্টা পর জানা গেল মিজান আর জীবিত নেই। মিজান কটিয়াদী পৌরসভার কামারকোনা মহল্লার মো. সিরাজুল ইসলামের পুত্র। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে।
নিহত মিজানের পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে এক কারখানায় সে কাজ করতে যায়। ফ্লোরক্লিপ দিয়ে সে উপর হতে মালামাল নামানোর সময় একটি বোর্ড ফসকে তার উপর পড়ে যায়। ফলে বোর্ডের নিচে চাপা পড়ে সে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছে।
মিজানুর রহমানের পিতা মো. সিরাজুল ইসলাম শুক্রবার বিকালে ঘটনাপ্রবাহকে জানান, আমার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের মাঝে মিজান ছিল সবার ছোট। সে ছিল সংসারে সকলের অত্যান্ত আদরের। কিন্তু আমার অভাবের সংসারে সকলের মুখে হাসি ফোটাতে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে তাকে মালয়েশিয়ায় পাঠায়। মালয়েশিয়া গিয়ে সে কোন সুবিধা করতে পারেনি। তাকে পাঠানোর সময় ঋণ করা ৫ লক্ষ টাকার বুঝা আমি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। সে প্রতিদিনই আমাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতো। আজও সকাল সাড়ে ৯ টার সময় আমি এবং তার মায়ের সাথে কথা বলেছে। তার সাথে মোবাইল মে কথা বলার আধা ঘন্টা পর মালয়েশিয়া প্রবাসী তার খালাতো ভাই ইসমাঈল ফোন করে জানায় ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় উপর হতে একটি বোর্ড পড়ে তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলই সে মারা যায়। সংবাদটি শুনে বাড়ির সকলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তার মায়ের আহাজারি কোন মতেই থামানো যাচ্ছেনা। শেষ বারের মত মিজানের মুখখানা দেখতে লাশটি বাড়িতে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়সহ সরকারের সহযোগিতা চাই।