logo

মহামারী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ১৫দিন পর এসএসসির ফল


ঘটনাপ্রবাহ ডেস্কঃ
২১ এপ্রিল ২০২০, ০১:১০ | অনলাইন সংস্করণ
মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ফলের জন্য অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ হচ্ছে।কবে ফল প্রকাশ করা হবে সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর‌্যন্ত ফল প্রকাশের কোনো সম্ভাবনা নেই।
শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের একটি রীতি চালু রয়েছে। এই রীতি অনুযায়ী বিগত ১০ বছর জেএসসি ও সমমান, এসএসসি ও সমমান, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাসহ সব পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের রীতি এবার ব্যত্যয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকার সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রেখেছে। এ কারণে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের মূল্যায়ন শেষে নম্বরপত্র (ওএমআর শিট) বোর্ডে পৌঁছাতে পারছেন না শিক্ষকরা। এ কারণে ফল চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।ফল ঘোষণা করাও সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্ত:শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা যাবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ১৫ দিন পর ফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ফল তৈরির কাজের আপডেট জানতে মঙ্গলবার সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডসহ কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করার কথা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের।
করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশ কার‌্যত লকডাউন থাকায় উত্তরপত্র পরীক্ষকদের কাছ থেকে বোর্ডে এসে পৌছায় নি।যেমনটি বলছিলেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোরাদ হোসেন মোল্লা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষকদের কাছে উত্তরপত্র আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে এগুলো বোর্ডে এনে ফল প্রস্তুত করতে বেশি সময় লাগবে না।
ফল প্রস্তুত কাজের অগ্রগতি জানতে চাইলে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ জানান, দাখিলের ফল প্রকাশের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ কাজ শেষ করতে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, এবার এসএসসি-সমমান পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় সারাদেশে ১০টি বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে