logo

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পেরিয়ে স্কুল যাচ্ছে শিশুরা!

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নবগ্রাম ও নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ঝিনাই নদী। নদীর পানি বেড়ে গেলে এ সাঁকোর অনেকটা তলিয়ে যায়। তার পরও ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পেরিয়ে রোজ স্কুল যেতে হয় কোমলমতি শিশুদের।

দুগ্রামে বাস করে পাঁচশতাধিক পরিবার। গ্রামের শত শত শিশু প্রতিদিন নদী পেরিয়ে এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় বলে জানান এলাকাবাসী।

জানা যায়, দুই গ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিয়ে একটি সরু মেঠোপথ বনমালী হয়ে নবগ্রাম মোড়ে ঠেকেছে। কিন্তু সেটি অনেক ঘোরাপেচা ও ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে হাঁটার উপায় থাকে না। এ জন্য গ্রামবাসীর ভরসা এ বাঁশের সাঁকো।

নদীর পানি বেড়ে গেলে এ সাঁকোর অনেকটা তলিয়ে যায়, তখন বড়রা হাতল ধরে পারাপার হলেও শিশুরা পড়ে বেকায়দায়। শিশুদের অতিকষ্টের সেতু পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। তাদের সাঁকো পেরিয়ে আবার ডুবে যাওয়া খেতের আইল ধরে পরনের কাপড় ভিজিয়ে কতক্ষণ হেঁটে পাকা সড়কে উঠতে হয়।

 এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে গ্রামের শিশুরা নদী পারাপার ও পড়ালেখা করছে। সাঁকো পিছলে অনেকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন বহু মানুষ এ সাঁকো পেরিয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করে। বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের সাঁকো পেরুতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

গ্রামবাসীর দাবি, একটি সেতু। নির্বাচন এলে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু চার দশকেও কেউ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে আসেননি।

এ ব্যাপারে গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন জানান, এসব দুর্গম জায়গায় সরকারের সেতু নির্মাণের কথা রয়েছে। এলাকাবাসী যোগাযোগ করলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে