নজরুল ইসলাম খায়রুল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় রশিদাবাদ গ্রামে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল সুমাইয়া নামে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী। সে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের মানিক মিয়ার কন্যা। সুমাইয়া স্থানীয় আলহাজ্ব তাজমহল খান উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীতে লেখাপড়া করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভ্রাম্যমাণ অদালত সূত্রে জানাগেছে, বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় রশিদাবাদ গ্রামে মানিক মিয়ার বাড়িতে সুমাইয়া নামে এক নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল। এ খবর পেয়ে প্রথমে আলহাজ্ব তাজমহল খান উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটে যান কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল। বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিষ্টারের তথ্য পরীক্ষা করে দেখেন কনের নাম সুমাইয়া, পিতা: মানিক মিয়া, সে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার জন্ম তারিখ: ১৫-০২-২০০০। কনের তথ্য সংগ্রহ করে এরপর ভ্রাম্যমান আদালত রওনা দেন কনের বাড়িতে। একই সাথে খবর দেয়া হলো বর মারিয়া ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মাজহারুল ইসলামের বাবাকে কনের বাড়িতে হাজির হওয়ার জন্য। কনের বাড়িতে পৌঁছে সুমাইয়ার জন্ম নিবন্ধন সনদ পরীক্ষা করে দেখেন মেয়ের জন্ম তারিখ: ১৫-০২-২০০০ লেখা রয়েছে। সে হিসেবে কনের বয়স এখনও ১৮ হয়নি। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ ভন্ডুল করে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল উপস্থিত কয়েকশত জনতার উদ্দেশ্যে বাল্যবিবাহের কুফল এবং এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন। উপস্থিত সকলেই জানান, তারা কোন বাল্য বিবাহ চান না। বর ও কনের বাবাও ভুল স্বীকার করেন। আর দুই বছর পর মেয়ের বয়স ১৮ বছর হলে তারা তাদের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দিবেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ আয়োজনের অপরাধে বরের পিতা শওকত আলী ও কনের পিতা মানিক মিয়াকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ধারা ৬ অনুযায়ী এক হাজার টাকা করে সর্বমোট দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কিশোরগঞ্জে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া
প্রকাশ : Aug 03, 2016 | Comments Off on কিশোরগঞ্জে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া
