নজরুল ইসলাম খায়রুল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কানকাটি গণহত্যা দিবস রোববার নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘কানকাটি গণহত্যা দিবস’ স্মরণসভা বাস্তবায়ন কমিটি কর্মসূচির আয়োজন করে। কানকাটি গ্রামে শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার প্রয়াসে নির্মিত স্মৃতিসৌধে শহীদের পরিবার ও গ্রামবাসির পক্ষে ভোরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকালে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক সামিউল হক মোল্লা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বদর উদ্দিন, স্থানীয় এলাকাবাসী চাঁন মিয়া, মো. মিলন মিয়া, শহীদ পরিবারের সদস্য সুবল সরকার, প্রফুল্ল বালা নন্দী, অমূল্য বালা নন্দী, রজনী সরকার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গণহত্যায় জড়িত রাজাকার দালালরা এখনও বেঁচে আছে। এই নির্মম হত্যাকান্ডে শিকার পরিবারদের খবর কেউ রাখেনা। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। তাই কানকাটি গণহত্যার বিচার শুরু করার জন্য উদ্বাত্ত আহ্বান জানান। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শহীদ পরিবারের লোকজন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের স্থানীয় দোসর রাজাকাররা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের ‘কানকাটি’ গ্রামে হামলা চালায়। তারা গ্রামটি ঘিরে ফেলে ঘরে ঘরে অগ্নিসংযোগ করে উল্লাসে মেতে ওঠে। দালাল রাজাকারদের সহযোগিতায় এলাকার সুরেশ চন্দ্র সরকার ও তার পরিবারের ৭ জন সদস্য হর্ষবর্ধন সরকার, বিশ্বনাথ বর্ধন সরকার, জ্ঞানচন্দ্র নন্দী, জয়চন্দ্র নন্দী, মধুসুদন নন্দী এবং প্রতিবেশি আব্দুল জব্বারকে ধরে নিয়ে যায়। সে রাতেই গচিহাটার ধুলদিয়া রেল সেতুতে দাঁড় করিয়ে পাক বাহিনী প্রথমে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং পরে গুলি করে হত্যা করে।
কিশোরগঞ্জের কানকাটি গণহত্যা দিবস পালিত
প্রকাশ : Sep 11, 2016 | Comments Off on কিশোরগঞ্জের কানকাটি গণহত্যা দিবস পালিত
