মাসুম পাঠান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান কর্তৃক উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত আহবায়ক কমিটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিএনপিসহ সর্ব মহলে আলোচিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে সংবাদটি । মেজর আখতারুজ্জামান ১২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা সভাপতির নিকট প্রেরণ ও ফেসবুকে প্রচার করেন। প্রস্তাবিত কমিটিতে বর্তমান উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপকে আহবায়ক ও মো. রফিকুল আলম রফিককে সদস্য সচিব, আলাউদ্দিন সাবেরী, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন, শফিকুর রহমান বাদল, আব্দুল মালেক সেলিম, শাহজাহান কবির ও মো. সাদেকুর রহমানকে যুগ্ন আহবায়ক করে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। প্রস্তাবিত কমিটিটি মেজর আখতার ও তার সমর্থকরা ফেসবুকে প্রচার করলে কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপ দলীয় প্যাডে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে ফেসবুকে প্রচার করেন। বিবৃতিটি হল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কটিয়াদী উপজেলা শাখার সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাবেক সাংসদ মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান এর ফেসবুক আইডি থেকে কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত আহবায়ক কমিটিতে আমার নাম আহবায়ক হিসাবে সম্পৃক্ত করে প্রচার করা হয়েছে, যাহা আমি অবগত নই। আশা করি এই সকল বিষয়ে কেহ কোন প্রকার বিভ্রান্ত হবেন না।
কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান কাঞ্চন জানান, ফেসবুকে প্রচার হওয়া প্রস্তাবিত কটিয়াদী উপজেলা আাহবায়ক কমিটি একান্তই মেজর আখতারের কল্পনাপ্রসূত। এ কমিটি গঠনে উপজেলা বিএনপির কোন সম্পৃক্ততা নেই।
কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপের প্রস্তাবিত আহবায়ক কমিটির বিষয়ে দলীয় প্যাডে বিবৃতি প্রদানের পর সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন দিলীপ সাহেবের এই বক্তব্য সম্পুর্ণ সত্যের অপলাপ। কয়েক জন নেতা বেশ কয়েকবার উনার সঙ্গে উনার বাড়ীতে গিয়ে আলাপ করেছে। তিনি এই কমিটিতে সম্মতি জানিয়েছেন। তার পরে আমি উনার সঙ্গে নিজে টেলিফোনে কথা বলে তা চুড়ান্ত করেছি। শুধু উনার সঙ্গে নয়, আমি অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। একমাত্র কাঞ্চন তার পদের জন্য আপত্তি করেছে, যা তাকে বুঝিয়ে বলার পরে অনেকটা অনিচ্ছা সত্তেও মেনে নিয়েছে। আমি শুধু সাবেরী ও সোবহান সাহেবের সঙ্গে কথা বলি নাই। আমি যেই প্রস্তাবনা দিয়েছি তাতে হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে কয়েক জনের নাম বাদ পড়েছে যার জন্য আমি দু:খিত। এদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অনুমোদন দেয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে। সবশেষে বলবো, দলের এই ক্রান্তিকালে পরস্পরের বিপক্ষে কাদা ছুরাছুরি না করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সবাই ভাল থাকুন। মেজর অব আখতার।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামানের কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির প্রস্তাবিত আহবায়ক কমিটি ফেসবুকের প্রচারিত হওয়ার বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানিয়ে আরো বলেন কটিয়াদীতে আমরা উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছি। কমিটি দলীয় সাংগঠনিক নিয়ম অনুয়ায়ী গঠন করা হবে। এটি ফেসবুকে প্রচারের বিষয় নয়। কেউ করে থাকলে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।