মাসুম পাঠান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাসের চাকা কেড়ে নিল পিএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া জান্নাতুল ফেরদৌস শারিকা (১১) নামে এক স্কুল ছাত্রীর প্রাণ। এ ঘটনায় শাকিরার পিতা মো ওয়াসিম, মাতা রুমা আক্তার ও ছোট ভাই শারান মিয়া আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের বানিয়াগ্রাম নামক স্থানে । জান্নাতুল ফেরদৌস শাকিরা কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের মসূয়া গ্রামের মো. ওয়াসিমের কন্যা ও মসূয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নবাগত ছাত্রী। শারিকা ২০১৯ সনে মসূয়া ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
জানা যায়, শারিকার পিতা ওয়াসিম তার নিজের সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যাচ্ছিলেন। উপজেলার বানিয়াগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে সিএনজি অটোরিকসাটি পার্শ্বসড়ক থেকে মহাসড়কে উঠার সময় ময়মনসিংহ থেকে ভৈরবগামী যাত্রীবাহী শ্যামলছায়া পরিবহনের একটি বাস সিএনজি অটোরিকসাকে ধাক্কা দেয়। বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে শারিকা ছিটকে মহাসড়কে পড়ে গেলে তার মাথার উপর দিয়ে বাসের চাকা যাওয়ায তার মাথা পিষে যায়। ফলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় শারিকার পিতা সিএনজি চালক ওয়াসীম, তার মা রুমা আক্তার ও ছোট ভাই শারান মিয়া গুরতর আহত হন । এলাকাবাসী তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত জনতা ঢাকা-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি একঘন্টা অবরোধ করে রাখে এবং কয়েকটি বাসে ভাংচুর করে। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে যাত্রীরা পড়ে চরম দূর্ভোগে। কটিয়াদী মডেল থানা ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তার এক ঘন্টা চেষ্টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কটিয়াদী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই শারিকার প্রাণ হারায়। চালক ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও বাসটি আটক করা হয়েছে।