নজরুল ইসলাম মজিব, কটিয়াদী থেকে
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা অভিযান বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজে দিন ব্যাপী ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন উপজেলা প্রকৌশলী অন্তূনু বল। ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যবস্থাপক মাইনুল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের ডিভিশনাল কোর্ডিনেটর হাসান আলী , উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আফজাল হোসেন, কর্মসূচির ফিল্ড কমিউনিকেটর সম্রাজ কুমার মন্ডল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সড়ক ব্যবহার, রাস্তা পারাপার, রোড সেফটি আইন, রোডের বিভিন্ন সাংকেতিক নির্দেশনা, দুর্ঘটনা কেন ঘটে এবং এ থেকে প্রতিকারের উপায়, স্কুলের শিক্ষার্থীদের কিভাবে দুর্ঘটনার ঝুকি থেকে বাচাতে পারে, যানবাহনে যৌন হয়রানীমুক্ত পরিবেশ ইত্যাদি,বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ও সাধারণ জনগনের সাথে কিভাবে কাজ করলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা যায় তা নিয়ে জোড়ালো যুক্তি তুলে ধরেন। প্রত্যেক স্কুলে একজন শিক্ষক একটি প্রতিষ্ঠান তাই শুধু কর্মশালায় অংশগ্রহন করলেই হবে না।
স্কুলে গিয়ে পাঠ্যসুচির অর্ন্তভক্ত করে বিষয়গুলো ভাল ভাবে শেখাতে হবে। যাতে তারা নিজেরা শিখতে পারে এবং তাদের পরিবার ও বন্ধু বান্ধবকেও শেখাতে পারে । তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক শিশু প্রান হারাচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে কত পথচারি।তাই স্কুলে ছাত্র/ছাত্রী রাস্তা পার করতে ভলান্টিয়ার এবং হাতে পতাকা নিয়ে পার করবে তবেই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে সড়ক নিরাপত্তার জন্য সরকার ও ব্র্যাককে এই মহতি উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান। কর্মশালায় সড়ক দুর্ঘটনায় কোন কোন যান বাহন, এবং কারা বেশী দায়ী তা তুলে ধরেন, প্রধান শিক্ষকগণ বলেন, প্রশিক্ষণ করা সহজ কিন্তু বাস্তবায়ন অনেক কঠিন। তাই তিনি সকল শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন- প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করবেন। সবাই সড়ক ব্যবহারের নিয়মগুলো মেনে চলবেন, শিক্ষার্থীদের শেখাবেন, পরিবারের সদস্যদেরকেও শেখাবেন যাতে দুর্ঘটনা থেকে সবাই মুক্তি পায়।
তিনি রাস্তায় ও যানবাহনে চলাচলে ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির কিছু বাস্তব ঘটনা তুলে ধরেন। সেই সাথে যানবাহনে কিভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয় তা বলেন। তাই তার পরামর্শ যাতে যৌন হয়রানিমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে এজন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তার প্রতিষ্ঠানের সহকর্মী ও ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে যৌন হয়রানিমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে।প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণ কারীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।