ঘটনা প্রবাহ ডেস্ক:
উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার দেশের আটটি সাধারণ এবং মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে এ প্লাস পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। পাসের হার ও এ প্লাস দুটোই গতবারের চেয়ে বেড়েছে।
গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন। সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে ১৫ হাজার ৩৮২ জন।
এবার ১০ বোর্ডে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১২ লাখ তিন হাজার ৬৪০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডেও এবার পাসের হার ও এ প্লাস দুটোই বেড়েছে। পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গতবার চেয়ে পাসের হার ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ প্লাস পেয়েছে ৪৮ হাজার ৯৫০ জন। গতবার পেয়েছিল ৩৪ হাজার ৭২১ জন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ প্লাস পেয়েছেন ২ হাজার ৪১৪ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে ছয় হাজার ৫৮৬ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে এক হাজার ৯১২ জন।
দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে তিন হাজার ৮৯৯ জন।
যশোর বোর্ডে ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর এ হার ছিল ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে ছয় হাজার ৭৩ জন।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে এক হাজার ৩৩০ জন।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে দুইহাজার ২৫৩ জন।
বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে ৭৮৭ জন।
পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এই অনুলিপি তুলে দেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে বিভিন্ন তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরেন।
বেলা একটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এর পরপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd), নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফল জানতে পারবেন।
গত ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ১২ জুন পর্যন্ত এবার এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলে। আর ১১ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএর পাশাপাশি প্রাপ্ত নম্বরও দেওয়া হবে।
গ্রেড পদ্ধতিতে ফল দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নম্বর দেওয়া বন্ধ করা হয়েছিল। শুধু একজন শিক্ষার্থী কত জিপিএ পেত, তা দেওয়া হতো। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, একজন শিক্ষার্থী সৃজনশীল, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে কত নম্বর পেল, তা-ও আলাদাভাবে অনলাইনে দেওয়া হবে।