logo

‘সন্তান না হওয়ার কষ্টে’ গৃহবধূর আত্মহত্যা


গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা ।। ০৩ জানুয়ারি ২০২১,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে নিজ ঘর থেকে শিশির আক্তার কলি (২৬) নামে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কলির স্বামী হুমায়ুন কবির মিলটন গ্রামীণ ব্যাংকের দৌলতদিয়া ঘাট শাখার কর্মকর্তা। দুজনের গ্রামের বাড়িই ঝিনাইদহের শৈলকুপার কুলচারায়। দৌলতদিয়ায় বিআইডব্লিউটিসির ট্রাক বুকিং কাউন্টারসংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন কলি।
কলির আত্মহত্যার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের পর দীর্ঘদিন কোনো সন্তান না হওয়ায় মানসিকভাবে কষ্টে ছিলেন কলি। সেই কারণে হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে কলি ছাড়া আর কেউ ছিল না। এ সময় আরেক ভাড়াটিয়া ঘরের চাবি নিতে তাকে অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায় কলি সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
গৃহবধূর স্বামী মিল্টন জানান, বিকালে ব্যক্তিগত কাজে রাজবাড়ীতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে স্ত্রীকে বারবার ফোন দিলেও না ধরায় দ্রুত বাসায় চলে আসি। এসে দেখি সে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি আবদুল্লাহ আল তায়াবী যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। নিহতের স্বামী, পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, বিয়ের তিন বছরেও সন্তান না হওয়ায় মানসিকভাবে কষ্টে ছিলেন ওই নারী। সে কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে