ঘটনা প্রবাহ ডেস্ক:
বগুড়ার শেরপুরে দুই দিনে গলায় ফাঁস দিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা খাতুন (১২) ও কিশোর আশরাফুল ইসলাম (১৪) নামে দু’জন আত্মহত্যা করেছে।
জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন উপজেলার গাড়ীদহ মডেল ইউনিয়নের জুয়ানপুর মধ্যপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের মেয়ে মজিবর রহমান মজনু বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে লাল রঙের জামা পড়ে সে স্কুলে যাচ্ছিল। এ সময় তার বাবা নূর হোসেন তাকে অন্য জামা পরে স্কুলে যেতে বলেন।
এতে অভিমান করে দুপুর ২টার দিকে নিজ শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘ সময় ফাতেমার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে। এ সময় ভেতর থেকে কোনো আওয়াজ না পাওয়ায় তার মা ঘরের ভেতর গিয়ে দেখেন তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে।
অপরদিকে শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী খয়বর ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম নিজ বাড়িতে দাদির সঙ্গে থেকে পার্শ্ববর্তী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করত। মোবাইল ফোন কিনে না দেয়ায় সোমবার রাতে সে তার নিজ শয়ন কক্ষে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।