মো. রফিকুল ইসলাম, পাকুন্দিয়া থেকে
সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কাতারে গিয়ে লাশ হলেন শরিফ মিয়া (৪১) নামে নির্মানা শ্রমীক। রবিবার নির্মানাধীন ভবন ধ্বসে তিনি নিহত হয়েছেন। শরিফ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌরসদরের চরলক্ষীয়া গ্রামের মোমতাজ উদ্দিনের ছেলে। মাত্র ৯ মাস আগে সংসারের ভাগ্য ফেরানোর আশায় ধার-দেনা করে পাড়ি জমিয়েছিলেন কাতারে।
নিহত শরিফের বড় ভাই রসুল মিয়া জানান, শরিফ মিয়া বিবাহিত। বাড়িতে তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন এবং দুই মেয়ে শাপলা, নাদিরা ও সজিব নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে কাতারে যান। স্টাট অফ কাতার ভবন নির্মান কর্মীর কাজ করতেন। রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টার দিকে ঘূর্ণিঝর শুরু হলে নিরাপদ স্হানে যাওয়ার সময় নির্মানাধীন ভবন ধসে শরিফ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নির্মানাধীন ভবন দুর্ঘটনায় শরিফ মিয়ার নিহত হওয়ার খবরটি পাকুন্দিয়ার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর থেকেই পরিবারটিতে চলছে মাতম। বাবা মোমতাজ উদ্দিন, মাতা জহুরা খাতুন, স্ত্রী সুফিয়া খাতুন এবং দুই মেয়ে শাপলা, নাদিরা ও সজিব নামে এক ছেলে সন্তান ও ভাই স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। নিহত শরিফ মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন তার স্বামীর লাশ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেন।