logo

চিকিৎসার জন্য বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতা চান জামাল

মোহাম্মদ মোস্তফা জাকিরঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের উত্তর লোহাজুরী গ্রামের (নামাকান্দা) অসুস্থ অসহায় জামাল মিয়া বাচঁতে চাই। তিনি একই গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার পরিবার। চিকিৎসা করতে না পেরে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অসুস্থ জামাল মিয়া। তিনি ৪ মাস যাবৎ বিছানায় শুয়ে শুয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এক পায়ে পঁচন ধরেছে, পঁচন ধরা পা থেকে শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জামাল সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। বর্তমানে তার পরিবারে বৃদ্ব মা সহ ৭ জন মানুষ রয়েছে,জামাল মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরিবারের লোকজন অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
এলাকার লোকজন জানান, জামাল মিয়া একজন খেঁটে খাওয়া ভাল মানুষ । পেশায় তিনি একজন ঝাঁলমুড়ি বিক্রেতা। প্রতিদিন যা রোজগার করতো তা দিয়েই সংসার চালাতো। লোহাজুরী স্কুল ও কলেজের সামনে বসে ঝাঁলমুড়ি বিক্রি করতো। সারাদিন বেচাকেনার শেষে যে টুকু টাকা লাভ হতো তা দিয়ে পরিবারে সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিত । গত এক বছর আগে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে যায়। তাকে সুস্থ করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ভর্তি করা হয়। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় সুস্থ হয়ে উঠেননি জামাল। চার মাস চিকিৎসার পর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। তারপর থেকে মানুষের সহযোগিতায় চলতো তার চিকিৎসার খরচ। অবশেষে জামাল মিয়াকে বাজারে বাজারে ভিক্ষা করতেও দেখা গেছে। বর্তমানে তার পায়ে পঁচন ধরেছে, বিছানায় শুয়ে শুয়েই কাটছে তার দিন।
অসুস্থ জামাল মিয়ার মা জফুরা বেগম বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তার এই কষ্ট দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা। মনে হয় আমার আগে ছেলে কে বিদায় দিতে হবে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। চিকিৎসা করালে আমার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারতো।
জামালেরর স্ত্রী মোছা. রিনা বেগম বলেন আমার স্বামী সুস্থ থাকা কালীন সময়ে কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাতো। তিনি অসুস্থ থাকায় পরিবারের ৭ জন মানুষ নিয়ে নানান কষ্টে কাটছে আমাদের দিন। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সংসারে পরিজনদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।

জামাল মিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকার ও মানুষের কাছে সাহ্যযের আবেদন করেছে তার পরিবার। হয়তো ভালো চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে জামাল, ফুটতে পারে পরিবারে সকলের মুখে হাসি।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে