মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) :
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। মুসলমানদের এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ছোট-বড়, ধনী-গরীব সবাই ঈদ পালন করে মহা আনন্দে। এবার সে আনন্দটা করতে পারেনি দেশবাসী। মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সে আনন্দটুকু কেড়ে নিয়েছে সকলের।
এই দূর্যোগ মূহুর্তে করোনা সংক্রমণের আশংকা থাকা সত্বেও নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় সহ গরীব দুঃখী ও ঘরবন্দি মানুষের খোঁজ খবর নিতে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন গরীবের বন্ধু কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইলহাম গ্রুপের চেয়ারম্যান দানবীর আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া।
তিনি ঈদের পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার মেরাতলী গ্রামে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে ওই দিন বিকেলে কুলিয়ারচর পৌরসভা থেকে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন। পরে তিনি উপজেলার উছমানপুর, রামদী ও গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে এলাকাবাসীর খোঁজ খবর নেন তিনি ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে তার সাথে ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উছমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম ক্বারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহির রায়হান জজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্বাস উদ্দিন, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এনামুল হক আবুবক্কর, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাফি উদ্দিন, মোঃ হাবিবুর রহমান, সালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইউসুফ মিয়া, রামদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মুক্তাদীর রহমান, কুলিয়ারচর ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ ইকবাল হোসেন, লক্ষ্মীপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসীম উদ্দিন খোকন, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউপি ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সাইদুজ্জামান, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ দ্বীন ইসলাম সহ জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে আমি চির কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে। ধন্যবাদ জানাই আমার প্রিয় নেতা ভৈরব-কুলিয়ারচরের কৃতিসন্তান কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন ভাইকে। যার জন্য আমি সুযোগ পেয়েছি আজকে আপনাদের পাশে থাকার, আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার। জানিনা কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি। তবে আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টায় কোন কমতি রাখি নাই।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমি মানুষের পাশে দাড়িয়ে যতটুকো সহযোগিতা করতে পেরেছি তা কুলিয়ারচরের মানুষের তুলনায় খুবই সামান্য। যদি সবাই মিলে যে যার জায়গা থেকে সম্মিলিতভাবে কুলিয়ারচরবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারতো তাহলে এটা একটা অনেক বড় উদ্যোগ হতো এবং মানুষের আরো অনেক কল্যাণ হতো। তিনি কুলিয়ারচরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আসুন আমরা ভবিষ্যতে কুলিয়ারচরের প্রতিটা মানুষ দল-মত, ভেদাভেদ, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। তাহলেই কুলিয়ারচরবাসী সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে।
তিনি দাবী করেন, একটা ভালো চিন্তাই পারে একটা ভালো সমাজ গঠন করতে। একটা খারাপ চিন্তা একটা সমাজকে নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই সকলে পজিটিভ চিন্তা করে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের জন্য কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি সকলের নিকট দোয়া ও কুলিয়ারচরবাসীর মঙ্গল কামনা করেন।
অবশেষে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখবেন করোনা থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকার কোন বিকল্প নাই। অহেতুক যেন বাড়ির বাইরে না যাই, বাঁচতে হলে এটাকে মানতেই হবে। করোনা এতো সহজে চলে যাচ্ছে না তাই আপনার সচেতনতাই পারে আপনাকে বাঁচাতে, আপনার পরিবারকে বাঁচাতে। বাঁচতে হবে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য, দেশের জন্য, দশের জন্য। একটু সচেতনতাই পারে করোনা মুক্ত জীবন পরিচালিত করতে। ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন।