কলাবতী কন্দজাতীয় ফুল গাছ। এ ফুলের আদিনিবাস আমেরিকার ফ্লোরিডা।তবে এশিয়া জুড়ে রয়েছে এ ফুলের ব্যাপক বিস্তৃতি।তাছাড়া বর্তমানে এশিয়ার জনপ্রিয় ফুলগুলির মাঝে কলাবতী অন্যতম।বিচিত্র রঙের বিভিন্ন প্রজাতির কলাবতী ফুল চোখে পড়ে।আমাদের দেশে লাল,হলুদ,গোলাপী,কমলা ও কালচে খয়েরি রঙের ফুল ফোটতে দেখা যায়।ফুল গন্ধহীন,পাপড়ি বড়, নমনীয় কোমল,গাছের কান্ডের অগ্রভাগে ফুল ধরে এবংএকই গাছে একত্রে এক বা একাধিক ফুল ফোটে।ফুটন্ত ফুল উর্দ্বমুখী।কলাবতী ফুল ফোটার মৌসুম গ্রীষ্মকাল থেকে শুরু করে হেমন্তকাল পর্যন্ত অথ্যাৎ শীতকাল বাদে প্রায় সারা বছর এ ফুল ফোটে।তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় সবচেয়ে বেশী ফুল ফোটে।।ফুল ফোটন্ত গাছ দেখতে খুব-ই মনোরম। গাছ উচ্চতায় প্রায় ৩-৫ ফুট হয়ে থাকে।গাছের পাতা বেশ বড় ও পুরু,মধ্যশিরা স্পষ্ট,অগ্রভাগ সূচালো,কলা পাতা সাদৃশ্য।এ ফুল গাছ শীতে মারা যায় এবং বসন্তের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে কন্দ হতে নতুন করে চারা গাছ গজায়।সাধারণত কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার হয়।বাগানে একবার কন্দ/চারা রোপন করা হলে চারা ও গাছের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ঝোপালো আকার ধারণ করে।এ ফুল গাছ বেশ কষ্ট সহিষ্ণু,রোগ পোকার আক্রমণ একেবারেই কম। প্রায় সব ধরনের মাটিতে কলাবতী ফুল গাছ উৎপন্ন হয়। অনুর্বর,আদ্র,স্যাঁতসেঁতে ও হাল্কা ছায়াযুক্ত স্থানেও এ ফুল গাছ ভাল বাড়বাড়তি হয়।তাছাড়া কম পরিচর্যাতে বেড়ে উঠতে পারে।এ ফুল গাছের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।ফুল শেষে গাছে ফল ধরে এবং ফলে বীজ হয়।বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিবেশে কলাবতী ফুল গাছ অনায়াসে জন্মাতে দেখা যায়।পারিবারিক বাগান,পকুর পাড়,রাস্তার ধার,ছাদ ও বারান্দার সামনের টবে,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান সহ প্রায় সকল স্থানে কম বেশী কলাবতী ফুল গাছ উৎপাদন ও লালন পালন চোখে পড়ে।
লেখা ও ছবি: মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী