মনির হোসেন শিমুল, কটিয়াদী থেকে
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বদিচ্ছা-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে ৩৮০ টি পরিবারে ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। সংগঠনের সমন্বয়ক মনির হোসেন শিমুল ও রায়হানুল ইসলাম রানার নেতৃত্বে প্রবাসীসহ নানান পেশায় নিয়োজিত সদস্যদের অর্থায়নে এই ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। কটিয়াদী পৌরসভা, লোহাজুরী ও জালালপুর ইউনিয়নে কয়েকটি টিমের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ঈদ সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়।
কটিয়াদী পৌরসভার দড়িচরিয়াকোনায় সায়মন হোসেনের নেতৃত্বে,জালালপুরের টুনিয়ারচরে রবিন হাসানের নেতৃত্বে,দক্ষিন চরকাঝালিয়ায় রাকিব হাসান,উত্তর চরঝাকালিয়ায় ওয়াকিল আহমেদ,উত্তর ফেকামারায় আতিকুল ইসলাম নাইম,চরনোয়াকান্দিতে আনোয়ার হোসেন রাসেল ও নাজমুল হাসান,দক্ষিন জালালপুরে রিয়ন আহমেদ ও বিল্লাল হোসেন, লোহাজুরীর দশপাখিতে জাকির হোসেন ও সুমন মিয়া,উত্তর পুর্বচরে সাখাওয়াত হোসেন,দক্ষিন পুর্বচরে শরিফ আহমেদ, উত্তর চরকাউনিয়ায় রবিন আফ্রাদ,সৌরভ আফ্রাদ ও ইমতিয়াজ কাদের,মধ্যচরকাউনিয়ায় আব্দুল হান্নান ও তোফায়েল আহমেদ, দক্ষিন ঝিড়ারপাড়ে নুর উদ্দীন এর নেতৃত্বে ঘরে ঘরে ঈদ সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া লোহাজুরীর আতুশাল পাড়ার মৃত বাতেনের পরিবারে ঈদ উপহার হিসেবে একটি সেলাই মেশিন প্রদান করেন স্বদিচ্ছা-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৫ টি মসজিদে স্প্রে মেশিন ও জীবানুনাশক বিতরন করেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এছাড়াও লকডাউনের ফলে খাদ্য সংকটে পড়া নিম্ম ও মধ্যবিত্ত প্রায় ২৯৫ টি পরিবারে খাবার সামগ্রী পৌছে দিয়েছে স্বদিচ্ছা-র স্বেচ্ছাসেবীরা।
স্বদিচ্ছার সমন্বয়ক রায়হানুল ইসলাম রানা বলেন, সরকারের পাশাপাশি দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের কে সবচেয়ে বেশী সহযোগিতা ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা। আমরা আমাদের সমাজ সেবামুলক কাজ চালিয়ে যেতে প্রবাসীদের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা ও পরামর্শ করছি।দলমত নির্বিশেষে মানব কল্যানে কাজ করতে সবাইকে স্বদিচ্ছা-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফরম পুরন করে সদস্য হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।