নিজস্ব প্রতিবেদক।। ঘটনাপ্রবাহ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাইকসা গ্রামের ধর্ষিতার পুত্র সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় মিললো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে। ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর তারিখে কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাইকসা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ীর ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে শামসুন্নাহার কে একই গ্রামের আরিফের ছেলে সাগর রাতের অন্ধকারে কৌশলে ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে এবং ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। চারমাস পর তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। মেয়ের বাবা হাদিউল ইসলাম গ্রামের মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়। সাগরের মা সুরমা আক্তার স্হানীয় প্রভাবশালী হওয়ার কারণে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গ্রাম্য শালিশ অমান্য করে এবং এই বিষয়কে কেন্দ্র করে কয়েকজন ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে, যাতে এই বিষয়ে আর কেউ কথা না বলে। এরই মাঝে ধর্ষিতা একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। আচমিতা ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মাহবুবুর রহমান বাচ্চু সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটিকে রহমত উল্লাহ, পিতা নাম সাগর উল্লেখ করে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ দেয়।ধর্ষিতার পিতা কোন উপায় না পেয়ে থানায় মামলা করার চেষ্টা করে।থানায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে কিশোরগঞ্জ কোর্টে নারীওশিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন । জুডিশিয়ারির তদন্তের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণের পর কোর্ট সিআইডিতে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন।
গত ১ জুলাই ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ পুলিশের ফরেনসিক ডিএনএ পরীক্ষাগারের উপ-প্রধান ডিএনএ বিশ্লষক আহম্মেদ ফেরদৌস ও ডিএনএ পরিদর্শক দিপংকর দত্ত’র স্বাক্ষরিত লিখিত প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমানীত হয়েছে যে, সাগর মিয়া, মোছা. শামসুন্নাহারের গর্ভজাত নবজাতক পুত্র সন্তানের পিতা।
অভিযুক্ত সাগর মিয়া ধর্ষিতার পিতার দায়েরকৃত মামলায় কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে আটক রয়েছে।
কটিয়াদীতে ধর্ষিতার সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় মিললো ডিএনএ টেস্টে
প্রকাশ : Jul 18, 2020 | Comments Off on কটিয়াদীতে ধর্ষিতার সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় মিললো ডিএনএ টেস্টে
