logo

কটিয়াদীতে করোনার ভুল রিপোর্টে সকালে লকডাউন, সন্ধ্যার পর প্রত্যাহার!

ফ.হ জোয়ারদার আলমগীরঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুল ফলাফলে একই পরিবারের সাত সদস্যসহ চার পরিবারের ১০ জনের পজেটিভ হওয়ার খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ওই চারটি পরিবার ও আশপাশের বাড়ি-ঘর লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
এ ঘটনায় গোটা কটিয়াদী উপজেলা জুড়ে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাখা মেলে নানা গুজব ও গুঞ্জনের ডালপালা।
অবশেষে সোমবার সন্ধায় নতুন করে সংশোধিত রিপোর্টে কোভিড-১৯ নেগেটিভ ফলাফল আসে। ফলে সকালে লকডাউন ঘোষণা করার আদেশ সন্ধ্যার পর তা প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।
জানা গেছে, শনিবার ও-ই চার পরিবারের ১০ জনসহ ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মাধ্যমে ঢাকায় আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়।
রোববার রাতে তাদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যাওয়ার রিপোর্ট আসে। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৭ জনসহ ১০ এবং ৪ জন পুরুষ ও ৬ জন নারীর কথা উল্লেখ করা হয়।
আর এ-রা হলেন কটিয়াদী পূর্বপাড়া মহল্লার এক ব্যবসায়ীর পরিবারের ৭ জন, লোহাজুরী ইউনিয়নের আতুশাল পাড়া গ্রামের ১ জন, বনগ্রাম ইউনিয়নের ঘিলাকান্দি গ্রামের ১ জন ও মসুয়া ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের ১ জন।
কটিয়াদী উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকতারুন নেছা জানান, রোববার রাতে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন ১০ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী একই পরিবারের সাতজন সনাক্ত হয়। এমন খবরে আক্রান্তদের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
তবে, সন্ধ্যার পর-ই আবার এ রিপোর্টের সংশোধনী আসে। আর ও-ই সংশোধিত রিপোর্ট অনুযায়ী এদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিভ্রান্তিকর তথ্যের অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে দাবি করেন, পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হয়তো এসব পরিবার লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছিল।
এ সময় তিনি আরও জানান,এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১৩ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে।
আর তাদের মধ্যে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আটজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ব্রাদার ও একজন অফিস সহকারী রয়েছেন।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে