logo

কটিয়াদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর ঝগড়া ৮দিন পর চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দুই গ্রামবাসীর ঝগড়ায় আহত মো.কবীর মিয়া (৪২) জখমের ৮দিনপর শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

নিহত কবীর মিয়া রায়খলা গ্রামের মৃত আপ্তাব উদ্দিনের পুত্র। শনিবার সকালে কবির মিয়ার লাশ কটিয়াদী মডেল থানায় নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। পুলিশ নিহতের চিকিৎসা এবং রিলিজের কাগজপত্র দেখতে চাইলে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২২ জুলাই জখমী কবির মিয়াকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হলে তিনি বাড়ি চলে আসেন। গত বৃহস্পতিবার তার অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায় বলে স্বজনেরা পুলিশকে অবহিত করেন। কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে রিলিজ এর কাগজ দেখাতে না পারায় তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ রহস্য উদঘাটনের জন্য নিহত কবির মিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য শনিবার কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। উল্লেখ্য গত ২২ জুলাই উপজেলার রায়খলা ও সতরদ্রোন গ্রামবাসীর মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনার দিন হুমায়ুন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫-২০জন আহত হয়েছে।

নিহত হুমায়ুন রায়খলা গ্রামের মৃত কামাল মেম্বারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত হুমায়ুনের ভাই মো. মামুন মিয়া বাদী হয়ে গত ২৪ জুলাই কটিয়াদী মডেল থানায় ২১ জনকে জ্ঞাত এবং ৪-৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম আকন্দ বলেন, জখমী কবির মিয়া কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর কিছুটা উন্নতি হলে রিলিজ নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। কিন্তু দুই দিন পূর্বে হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল রাতে ঢাকায় মারা যায়। কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল থেকে রিলিজের কাগজপত্র বাড়িতে ছিল। পরে থানাকে অবহিত করা হয়। তারমত আরো অনেক জখমীর শারীরিক উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে এসে চিকিৎসকের পরামর্শমতে ওষুধ খাচ্ছেন। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা লাশ নিয়ে আসে। তাছাড়া কোথায় কিভাবে চিকিৎসা করিয়েছিলেন তার প্রকৃত তথ্য না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে