নজরুল ইসলাম খায়রুল, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ইটনায় হাইকোর্টের রায় অমান্য করে এক পক্ষকে জলমহাল দখলে দেয়ার পাঁয়তারা করছে স্থানীয় ভুমি অফিস। অভিযোগ ও অন্যান্য সুত্রে জানা গেছে, ১৪১৭ হইতে ১৪২২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত মোট ৬ বছরের জন্যে ইটনা উপজেলার এলংজুরি ইউনিয়নের বৌবাটলাই নয়ানগর ডুইয়া বিলের লীজ নেয় স্থানীয় আতপাশা বয়রা মৎস্যজীবি সমিতি। দুই বছর আগে ওই বিলের পাশ নিয়ে প্রবাহমান কুশিয়ারা নদী খনন কাজ শুরু করে। এতে নদীর ঘোলা পানি বিলে ঢুকার কারণে বিল থেকে মাছ বের হয়ে যায়। এতে ক্ষতির শিকার হন মৎস্যজীবিরা। তাই মেয়াদ শেষের আগেই লিজের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান ভুমি মন্ত্রনালয়ে। কিন্তু ভুমি মন্ত্রনালয় নিয়ম ভঙ্গ করে পার্শ¦বর্তী মিঠামইন উপজেলার মামুদপুর মৎস্য জীবি সমিতিকে ওই বিলের লীজ প্রদান করেন। এ অবস্থায় আতপাশা বয়রা মৎস্যজীবি সমিতির গত ৮ আগস্ট তারিখে হাইকোর্টে রিট করেন (রিট পিটিশন নাম্বার-৯৮০৩)। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট মামুদপুর মৎস্যজীবি সমিতিকে দেয়া লীজ স্থগিত ঘোষণা করেন। এদিকে হাইকোর্টে স্থগিত ঘোষণা হলেও এলংজুরি ভুমি অফিসের ভুমি কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি চক্র মামুদপুর মৎস্যজীবি সমিতিকে বিলের দখল বুঝিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। এ নিয়ে এলাকার মৎস্যজীবিদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতপাশা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি জজ মিয়া জানান, কুশিয়ারা নদী খননের ফলে বিলের মাছ বের হয়ে যায়। এতে তারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তিনি রিট আদেশের কপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সকল দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন না ধরায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে এলাকার মৎস্যজীবিদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।