logo

অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে স্বাগতিক ইংলান্ড। দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অজিদের। তবে স্টিভেন স্মিথের ৮৫ রানের উপর ভর করে ইংলিশদের সামনে ২৩৩ রানের টার্গেট দাড় করায় ফিঞ্চরা। জবাবে ব্যাট হাতে ৩২ ওভার ১ বলে জয় তুলে নেয় মরগানরা।

সেই সাথে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে নাম লেখালো এখন পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ না পাওয়া ইংল্যান্ড। ১৪ জুলাই ঐতিহাসিক লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে লড়বে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায়। সরাসরি সম্প্রচার করে বিটিভি, গাজী টিভি, মাছরাঙা চ্যানেল ও স্টার স্পোর্টস ওয়ান।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে শুরুতেই আঘাত হানেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার। তার প্রথম ওভারের ১ম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। আউট হবার আগে তিনি করেন শূন্য রান।

এরপরের ওভারে ক্রিস ওয়াকসের বলে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন অস্ট্রেলিয়ার নির্ভরযোগ্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আউট হবার আগে তিনি করেন ১১ বলে ৯ রান। এরপর দলের হাল ধরতে মাঠে আসেন পিটার হ্যান্ডসকোব। চেষ্টা করেন স্মিথের সাথে জুটি গড়তে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪ রানে সেই ক্রিস ওয়াকসের বলেই বোল্ড আউট হন পিটার হ্যান্ডসকোব।

১৪ রানে যেখানে ৩ উইকেট নেই, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার শেষটাই আজ দেখে ফেলেছিল সবাই। ম্যাচ শেষে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, সেটা এখনই বলা না গেলেও, অস্ট্রেলিয়া যে এমনি এমনিই ম্যাচটা ছেড়ে দেবে না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন স্টিভেন স্মিথ এবং অ্যালেক্স ক্যারি। দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১০৩ রানের জুটি। ১৪ রান থেকে দু’জন অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে যান ১১৭ রান পর্যন্ত।

কিন্তু ২৮তম ওভারে বোলিং করতে এসেই ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদের মায়াবী ঘূর্ণি ফাঁদে পড়ে পরিবর্তিত ফিল্ডার জেমস ভিন্সের হাতে ক্যাচ দেন উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া অ্যালেক্স ক্যারে। ৭০ বল খেলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর একই ওভারের শেষ বলে আদিল রশিদের বলটা ঠিকমত বুঝতে পারেননি মার্কাস স্টোয়ানিস। তার বল পায়ে লাগার পরই জোরালো আবেদন করেন আদিল রশিদ। আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা অনেক্ষণ সময় নিয়ে এরপর ধীরে ধীরে আঙ্গুল তোলেন। তার আউট দেয়ার স্টাইল দেখেই মনে হচ্ছিল যেন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে আউটটা দিয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাগ্য, রিভিউ বাকি ছিল না, তাই রিভিউর আবেদনও করতে পারেনি তারা।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন জোফরা আর্চার। ২৩ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ বরে ইয়ন মরগানের কাছে ক্যাচ দেন ম্যাক্সওয়েল। আদিল রশিদের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্যাট কামিন্স (৬) সেই সঙ্গে সপ্তম উইকেটের পতন হয় অজিদের।

তবে শেষ দিকে স্মিথ-স্টার্ক জুটি দলটিকে দু’শ রানের কোটা পার করতে সাহায্য করে। অষ্টম উইকেটে তারা ৫১ রান তোলেন। মিচেল স্টার্ক ৩৬ বলে ২৯ রান করে ক্রিস ওকসের বলে বিদায় নেন। তবে রান আউটের ফঁদে পড়া স্মিথ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ১১৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে সাবেক এই অধিনায়ক দলীয় সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন।

ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ওকস ও রশিদ তিনটি করে উইকেট দখল করেন। জোফরা আর্চার দুটি ও মার্ক উড একটি উইকেট পান।

অজিদের দেয়া ২২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জনি বেয়ারস্টো আর জেসন রয়ের উদ্বোধনী জুটি আরও একবার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ওপেনিংয়েই ১০৪ বলে তারা তুলে দিয়েছেন ১২৪ রান। এমন শুরুর পর আর পেছনে ফিরে তাকানো লাগে! লাগেওনি।

দুই ওপেনারের মধ্যে একটু ধীরগতির ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ৪৩ বলে ৩৪ রান করে তিনি মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হন। ১৪ বলের ব্যবধানে আরেক ওপেনার জেসন রয়কেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে অজি শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিলেন প্যাট কামিন্স। ৬৫ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় রয় তখন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। আউট হন ৮৫ রান করে।

এরপর বাকি কাজটা করেন রুট আর ইয়ন মরগান। দু’জনে ৭৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। রুট ৪৯ আর মরগান ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

Comments are closed.







প্রধান সম্পাদক : ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর, সহ-সম্পাদক : দেলোয়ার হোসেন শরীফ।
বার্তা সম্পাদক - মাসুম পাঠান, প্রধান কার্যালয়: ১৩/এ মনেশ্বর রোড, হাজারিবাগ, ঢাকা- বাংলাদেশ।
জোনাল অফিস: বাংলাদেশ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট, কটিয়াদী বাজার (অগ্রনী ব্যাংক নিচতলা), কিশোরগঞ্জ।
ফোন : ০১৭১১-১৮৯৭৬১, ০১৭১১-৩২৪৬৬০, ০১৭৩২-১৬৩১৫৭।
ই-মেইল: news@ghatanaprobaha.com, ওয়েবঃ- www.ghatanaprobaha.com
ডিজাইন: একুশে